Wednesday, May 1, 2019

YOUTUBE SEO

YouTube SEO

 ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট এর মত ইউটিউব SEO অতটা জটিল না।
ইউটিউব হচ্ছে ক্রিয়েটিভ মানুষদের জন্য তাই শুধুমাত্র কিছু নিয়মকানুন মেনেই ইউটিউব SEO করা সম্ভব।
যেহেতু ইউটিউব গুগলের সাইট সেহেতু গুগলের অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয় ভাবে আমাদের ভিডিওগুলোকে কে তার ডাটাবেজ এ সংরক্ষন করে।তাই আমাদের প্রয়োজন শুধু আমাদের কাজ গুলোকে সঠিকভাবে পালন করা।আর তাই একটুখানি কষ্ট করলেই আমরা আমাদের ভিডিও গুলোকে Rank করাতে পারি।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে আমরা আমাদের ভিডিওকে Rank করাতে পারিঃ 

আমাদের ভিডিওকে Rank করাতে হলে নিম্নের কাজ গুলো আমাদের অনুসরণ করা লাগবেঃ
(I) Video Quality
(II) Video Regulations
(III) Video Length
(IV) Video Thumbnail
(V) Title
(VI) Tag
(VII) Description
(VIII) Backlink
(IX) Social Media Marketing
(X) Feedback

এবার চলুন উপরোক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা যাক,
(I) Video Quality:
একটা ভিডিও তখনই Rank করে যখন সাধারণ মানুষ তা দেখে উপভোগ করবে।যদি ভিডিওটি ভালোই না লাগে তাহলে সবাই কেন দেখবে।ভিডিও মানসম্মত না হলে আপনি যতই SEO করুন না কেন কোন লাভ হবে না।আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ভিজিটর কে ভিডিওর মধ্যে ধরে রাখতে।সুতরাং সর্বপ্রথম আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ভিডিও এর মানের দিকে।
(II) Video Regulations:
  একটি 360p ভিডিওর থেকে 1000p এর ভিডিও বা তার থেকে বেশি রেজুলেশন সমৃদ্ধ ভিডিওটি ইউটিউব এর কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য।তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে High Regulations সমৃদ্ধ ভিডিও তৈরি করা।
(III) Video Length:
 ভিডিও Rank করার ক্ষেত্রে Video Length (ভিডিও এর সময়) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।ধরুন একটা টিউটোরিয়াল ভিডিও ২ মিনিটে কমপ্লিট করা যায় এখন আপনি যদি ওই ভিডিও ২ মিনিটের বদলে ৫ মিনিট করেন তাহলে কিন্তু অনেকে ৫ মিনিটের জায়গায় ২ মিনিটকে বেশি প্রাধান্য দিবে।তাই আমাদের Rank করতে হলে ২.৩০ মিনিট করতে হবে।এই ক্ষেত্রে ইউটিউব এবং ভিজিটর সবার কাছেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারব।আর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ভিডিও গুলোতে এক-তৃতীয়াংশের এর বেশি সময় ভিজিটরকে ধরে রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে তাহলে আমরা Rank করতে পারব।
(IV) Video Thumbnail:
ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন আকর্ষণ আর সাধারণ মানুষের আকর্ষণ কাড়তে একটা সুন্দর Thumbnail ই যথেষ্ট। Thumbnail এমন হতে হবে যাতে করে Title এবং ভিডিও এর সাথে মিল থাকে।যদি মিল না থাকে তাহলে কিন্তু ভিজিটর না দেখেই চলে আসবে আর Ranking এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব পড়বে।
(V) Title: 
Title একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভিডিও কে Rank করানোর জন্য।
Title এমন হওয়া উচিৎ যাতে যে কেউ পড়ে বুঝতে পারে পুরো ভিডিও টা কি সম্পর্কিত। আর অবশ্যই টাইটেল অনেক সহজ সরল ভাষায় লিখতে হবে। আপনি যে কোন ভাষায় লিখতে পারেন তবে ইংলিশ টাইটেল ইউটিউব এর অ্যালগরিদম এর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য।।
(VI) Tag:
বর্তমানে গুগলের পরে সবচেয়ে বেশি সার্চ পড়ে ইউটিউব এ।আর ইউটিউব এ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে সাহায্য করে টাইটেল এর পর ট্যাগ।ট্যাগ কে একটা ভিডিওর প্রাণ বলা যায়।তাই ভিডিওকে Rank করানোর ক্ষেত্রে ট্যাগ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।অনেকে আবার ট্যাগ কি তাই জানেন না বা অনেকে বুঝতে পারেন না।তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ট্যাগ হচ্ছে এমন কিছু বাক্য যার দ্বারা আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ফলাফল বের করি।যেমন ধরুন, আপনি চাচ্ছেন আপনি একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলবেন, কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, তাহলে নিশ্চয় আপনি গুগল বা ইউটিউব এর হেল্প নিবেন। তখন আপনি সার্চবারে কি লিখবেন? নিশ্চয় এমন কিছু, how to create a gmail account বা create a gmail account বা gmail account এখন কথা হচ্ছে আপনি যেটাই লিখুন না কেন আপনি কিন্তু আপনার ফলাফল পেয়ে
যাবেন।তারমানে ওই তিনটা ওই কন্টেন্ট এর জন্য ট্যাগ হতে পারে।যে কোন একটা লিখলেই আপনি ওই কন্টেন্ট টা পেয়ে যাবেন।আশা করি ট্যাগ জিনিসটা কি তা বুঝতে পেরেছেন।
এখন কথা হল কেমন ট্যাগ ব্যবহার করা উচিৎ?
ট্যাগ অবশ্যই আপনার ভিডিওর উপর নির্ভর করে কারণ ট্যাগ এর কাজ ই হচ্ছে আপনার ভিডিও কে ইঙ্গিত করা। এখন ধরুন আপনি একটা টেকনোলোজি ভিত্তিক ভিডিও আপলোড দিলেন আর ট্যাগ দিলেন Funny video 2018। আর এখন আমার ইচ্ছা হল ফানি ভিডিও দেখার আমি আপনার ওই ট্যাগটা লিখে সার্চ দিলাম আর প্রথমেই আপনার ভিডিওটা আসলো তাহলে কি আমি আপনার ভিডিওটা দেখব। অবশ্যই না।।তবে হ্যা যদি আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু ভাল হয় তাহলে অনেকে দেখবে।কিন্তু সবাই না।
তাহলে আশাকরা যায় আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভিডিও অনুযায়ী ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।আর একটা কথা ট্যাগ অবশ্যই সহজ, সরল, সাবলীল হতে হবে।কারণ জটিল ট্যাগ অ্যালগরিদম এর কাছে গ্রহণযোগ্য না।আর অতিরিক্ত এবং অযাচিত ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত না।আপনার ভিডিওকে Rank করানোর জন্য সর্বোচ্চ ১০ টি ট্যাগই যথেষ্ট।
(VII) Description:
একটা ভিডিওর বর্ণনা অনেক সময় ভিডিওকে Rank করাতে সাহায্য করে।কারণ ইউটিউব এর অ্যালগরিদম আমাদের ভিডিও অডিও কিছুই বুঝতে পারে না।।তবে অ্যানালাইজ করতে পারে HD নাকি 3gp ও Mp3 নাকি Aac। কোনকিছুর কপি কি না তাও যাচায় করতে পারে।তাই আমাদের ভিডিও Ranking এর জন্য ট্যাগ টাইটেল এর পাশাপাশি ডেসক্রিপশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
(VIII) Backlink:
 কোন ওয়েবসসাইট এ আমাদের কোন কন্টেন্ট এর লিংক ছেড়ে আসায় হল Backlink. তবে আমাদের কন্টেন্ট গুলো তখনই Rank করে যখন Backlink গুলো Do-follow ওয়েবসাইট এ করা যায়।Backlink এর কাজ মূলত ঐ সকল সাইট থেকে ভিজিটর আনা।তাই তাই ব্যাক লিংক করার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ওয়েবসাইট গুলো যেন আমাদের কন্টেন্ট গুলোর সাথে মিল থাকে।তাহলে ভিজিটর এসে ঘুরে যাবে না।আর ইউটিউব এর জন্য সর্বোচ্চ ২০ ব্যাকলিংক ই যথেষ্ট প্রত্যেকটা ভিডিওর জন্য।
(IX) Social Media Marketing:
Social Media Marketing বলতে বোঝায় Social Media এর ভিজিটর গুলোকে আমাদের লক্ষ্যে আনা।।আর এই কাজটা আমরা করতে পারি Social Media গুলোতে আমাদের কন্টেন্ট গুলোকে শেয়ার বা প্রমোট এর মাধ্যমে।
(X) Feedback: 
Like, Dislike, Comment, Share এই সকল ফিডব্যাকগুলো শুধুমাত্র ইউটিউব না সকল সাইটের জন্য খুব উপকারী।তাই আপনার ভিজিটরদের কাছে থেকে সবসময় এইগুলো পাওয়ার চেষ্টা করবেন।আর এই সকল ফিডব্যাক গুলো আমাদের ভিডিওকে Rank করানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে যে গুলো।আমাদের ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে যেমন, i card, translation, water mark, end screen ইত্যাদি।

No comments:

Post a Comment